এক বছর আগে আজকের দিনে ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছিলেন বেন স্টোকস। খেলেছিলেন ৮৪ রানের ইনিংস। যার সুবাদে বিশ্বকাপ ফাইনাল প্রথমবারের মতো গড়িয়েছিল সুপার ওভারে।
অর্থাৎ, সাত সপ্তাহের টুর্নামেন্টের শেষটা অপেক্ষা করছিল ১২ বলের উপর। কিন্তু ওই ১২ বলেও ভাগ্য নির্ধারণ না হওয়ায় ‘বাউন্ডারি কাউন্ট ব্যাক রুল’ নিয়মে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। যার স্মৃতি আজও তাজা ব্রিটিশদের মনে।
কঠিন পরিস্থিতি থেকে চাপ নিয়ে বড় স্কোর করে দলকে ড্র করতে সাহায্য করায় এই জয়ের অনেকটা কৃতিত্বই দেয়া হয় স্টোকসকে। সেই জয়ের এক বছর পর স্টোকসের নতুন কাহিনী প্রকাশ পেয়েছে। জানা গেছে, সুপার ওভারে পৌঁছানোর পর প্রচন্ড চাপে চলে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই চাপ কাটাতেই সেই সময় তিনি সিগারেট জ্বালিয়েছিলেন।
‘মর্গ্যান মেন: দ্য ইনসাইড স্টোরি অব ইংল্যান্ডস রাইজ ফ্রম ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ হিউম্যানেশন টু গ্লোরি’ নামে সদ্য প্রকাশিত একটি বইয়ে এই ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে।
লিক হোল্ট এবং স্টিভ জেমসের লেখা বইয়ের একটি অংশের উদ্ধৃতি দিয়ে স্টাফ.কম.নিউজিল্যান্ড তাদের আর্টিকেলে লিখেছে, ২৭ হাজার দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়ামে সুপার ওভার শুরু হচ্ছিল এবং ক্যামেরা সব খেলোয়ারদের মুখকে এক এক করে ধরছিল। মাঠ থেকে লং রুম এবং ড্রেসিংরুমে।
তার আগে চূড়ান্ত চাপের মধ্যে বেন স্টোকস দু’ঘণ্টা ২৭ মিনিট ব্যাট করেছিলেন। তিনি লর্ডসে অনেকবার খেলেছেন। তিনি এখানকার প্রতিটি কোণা জানেন। তবুও ড্রেসিংরুমে স্টোকস ঘামছিলেন। পরে ড্রেসিংরুমের পিছনে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে একটা ছোট্ট অফিস ছিল। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি সিগারেট জ্বালান এবং কিছুটা সময় নিজের মতো কাটান।
নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষ হওয়ার পর সুপার ওভারেও ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। দুই দলই ছয় বলে ১৫ রান তোলে। এর পর আর কিছু নেই বিশ্ব ক্রিকেটে। সুপার ওভার ড্রয়ের পর বিচার হল ম্যাচের বাউন্ডারি দিয়ে। সেখানে দেখা গেল ইংল্যান্ড ২৬ ও নিউজিল্যান্ড ১৭টি বাউন্ডারি মেরেছিল। সেই হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল ইংল্যান্ড। ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন স্টোকস।